অনিয়মিত মাসিক কি? কারণ, লক্ষণ ও উপসর্গ

অনিয়মিত মাসিক কি?

অনিয়মিত মাসিক হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য বা নিয়মিততা পরিবর্তিত হয়। সাধারণত, একটি মাসিক চক্র ২৮ দিন স্থায়ী হয়, তবে এটি ২১ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে পরিবর্তিত হতে পারে। যদি মাসিক চক্র ২১ দিনের কম বা ৩৫ দিনের বেশি হয়, তাহলে তাকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়।

অনিয়মিত মাসিকের কারণ

অনিয়মিত মাসিকের অনেক কারণ হতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • কিশোর বয়স: কিশোরীদের মধ্যে মাসিক চক্র নিয়মিত হতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে।
  • গর্ভধারণ: গর্ভবতী মহিলাদের মাসিক হয় না।
  • স্তন্যদান: স্তন্যদান করা মহিলাদের মাসিক চক্র অনিয়মিত হতে পারে।
  • মেনোপজ: মেনোপজ শুরু হওয়ার আগে মাসিক চক্র অনিয়মিত হতে পারে।
  • চিকিৎসা অবস্থা: কিছু চিকিৎসা অবস্থা, যেমন পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), থাইরয়েড সমস্যা, এবং এন্ডোমেট্রিওসিস, অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে।
  • লাইফস্টাইলের কারণ: মানসিক চাপ, ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি, এবং ধূমপান অনিয়মিত মাসিকের কারণ হতে পারে।

অনিয়মিত মাসিকের লক্ষণ ও উপসর্গ

অনিয়মিত মাসিকের কিছু লক্ষণ ও উপসর্গ হল:

  • মাসিকের সময় রক্তপাতের পরিমাণ বা স্থায়িত্ব পরিবর্তন
  • মাসিকের আগে বা পরে অস্বাভাবিক রক্তপাত
  • মাসিকের সময় ব্যথা বা অস্বস্তি
  • মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বা ক্লান্তি

অনিয়মিত মাসিকের চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণ এবং লক্ষণগুলির উপর। যদি অনিয়মিত মাসিকের কারণ কোনও চিকিৎসা অবস্থা হয়, তাহলে সেই অবস্থার চিকিৎসার মাধ্যমে মাসিক নিয়মিত করা যেতে পারে। যদি অনিয়মিত মাসিকের কারণ কোনও চিকিৎসা অবস্থা না হয়, তাহলে জীবনধারা পরিবর্তন বা ওষুধের মাধ্যমে মাসিক নিয়মিত করা যেতে পারে।

যদি আপনার অনিয়মিত মাসিক হয়, তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার মাসিক চক্রের ইতিহাস, লক্ষণগুলি, এবং অন্যান্য চিকিৎসা অবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন। ডাক্তার আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং প্রয়োজনে রক্ত ​​পরীক্ষা বা অন্যান্য পরীক্ষার পরামর্শ দিতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment