খোস-পাঁচড়া ও চুলকানি

খোস-পাঁচড়া ও চুলকানি কি? খোস-পাঁচড়া ও চুলকানির লক্ষণ এবং খোস-পাঁচড়া ও চুলকানি চিকিৎসা এইসব ধারণাগুলো আমরা আজকের পোষ্টে সঠিকভাবে জেনে নিবো।

খোস-পাঁচড়া ও চুলকানি কি?

চুলকানি সারকপটেই স্কাবিস (Searcoptie Scabis) নামক খুব সংক্রামক জীবাণু দ্বারা হয়। এটা একটি পারিবারিক ও ছোঁয়াচে রোগ। পরিবারের একজনের হলে অন্যান্য সদস্যদের হয়। সাধারণত শীতকালে এ রোগ বেশি হয়। এছাড়াও একই ঘরে বা একই স্থানে ঠাসাঠাসি করে বাস করা, অপরিস্কার অপরিচ্ছন্ন থাকা এবং নিয়মিত শরীর ও জামাকাপড় পরিস্কার না রাখার ফলে এ রোগ হয়ে থাকে। চুলকানির ফলে আক্রান্ত স্থানে পুঁজ জমে বলে এটি খোস-পাঁচড়া নামে পরিচিত।

খোস-পাঁচড়া ও চুলকানি

খোস-পাঁচড়া ও চুলকানির লক্ষণ

  • আক্রান্ত স্থানে ভীষণ চুলকায় এবং চুলকালে আরামবোধ হয়।
  • প্রথমে হাতের পেছনে আঙ্গুলের ভাঁজের ভিতর কুঁচকিতে, নাভির চারিদিকে, বগলের নিচে, ফুচকীতে এবং পিটের বিভিন্ন জায়গায় চুলকায়।
  • চুলকানির স্থানে লাল আঁশের মত হয় এবং পরে পেকে পুঁজ হয় এবং ব্যথা করে।
  • ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যেই এ রোগ বেশি হয়।
  • হাতের উপরের তালু, মুখ ও ক্ষেত্র বিশেষে মাথায় বেশি হয়।
  • মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনের বোঁটায় (নিপুল) এবং পুরুষদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ ও অণ্ডকোষে বেশি দেখা যায়।

খোস-পাঁচড়া ও চুলকানির চিকিৎসা

  • সারা শরীর পরিষ্কার পানি ও সাবান দিয়ে ধুতে হয়।
  • এমক্সিসিলিন (Amoxicilin) জাতীয় এন্টিবায়োটিক সেবন করা যেতে পারে।
  • পুঁজ বেশি মাত্রায় থাকলে ক্লোক্সাসিলিন (Cloxacillin) জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।
  • জটিলতা দেখা গেলে সিফালেক্সিন (Cephalaxin) জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।
  • বেনজাইল বেনজয়েট (Benzyl Benzoate) জাতীয় ক্রীম শরীরে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • পারমিথ্রিন (Permethrin) ভ্যানিসিং ক্রীম শরীরে ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • চুলকানি বেশি হলে এন্টি হিস্টাসিন ক্লোরোফেনিরামিন ম্যালিয়েট জাতীয় ঔষধ সেবন করা যেতে পারে।

বি:দ্রঃ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন ও ব্যবহারের মাত্রা জেনে নিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment