গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন বিপদচিহ্ন

গর্ভকালীন বিপদচিহ্ন ও প্রসবকালীন বিপদচিহ্ন জানা খুবই জরুরি। এগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকলে গর্ভবতী মহিলা এবং গর্ভস্থ শিশুর স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা সম্ভব।

গর্ভকালীন বিপদচিহ্ন

  • অস্বাভাবিক এবং অবিরত মাথাব্যথা প্রি-এক্লেম্পসিয়ার লক্ষণ হতে পারে।
  • ঝাপসা দেখা, দৃষ্টিশক্তি হারানো গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
  • মুখ, হাত, পা বা পেট ফুলে যাওয়া কিডনি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
  • কোনো কারণ ছাড়াই যোনি থেকে রক্তপাত হলে তা গর্ভপাত বা অন্য কোনো জটিলতার ইঙ্গিত দিতে পারে।
  • তীব্র পেট ব্যথা, চাপ বা সংকোচন গর্ভপাত সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
  • শ্বাস নিতে কষ্ট হলে বা শ্বাস ফেলার সময় শিস বাজার মতো শব্দ হলে তা ফুসফুসে জল জমার লক্ষণ হতে পারে।
  • প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা প্রস্রাবে রক্ত দেখা কিডনি সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
  • অবিরত বমি করলে শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি হতে পারে।
  • শিশুর নড়া-চড়া কমে যাওয়া বা বন্ধ হয়ে গেলে তা শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
গর্ভকালীন ও প্রসবকালীন বিপদচিহ্ন

প্রসবকালীন বিপদচিহ্ন

প্রসবকালীন বিপদচিহ্নগুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এগুলো সময়মতো চিনতে পারলে প্রসূতি ও শিশুর জীবন রক্ষা করা সম্ভব। নিম্নে কিছু বিপদচিহ্ন উল্লেখ করা হলো:

  • যোনীপথ থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হওয়া;
  • প্রসবের সময় জ্বর আসা;
  • প্রসবের সময় শ্বাসকষ্ট হওয়া;
  • চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হওয়া বা দ্বিধা দেখা দেওয়া;
  • মাথা ঘোরা এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া;
  • প্রসবের সময় বেদনাবোধ না হওয়া;
  • শিশুর হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া;
  • পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়া;
  • প্রসববেদনা ক্রমশ যদি ব্যথা অসহ্য হয়ে ওঠে, অনিয়মিত হয় বা অন্য কোন অস্বস্তি হওয়া;
  • প্রসবের পর যদি মূত্রত্যাগে সমস্যা হয় তা হলে তা কিডনির সমস্যা নির্দেশ করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment