পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত

পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে প্রচুর রক্ত এবং তরল বের হয়ে যায়। তাই এই সময় পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি। পিরিয়ডের সময় খাওয়া উচিত এমন কিছু খাবার হল:

পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত
  • আয়রন সমৃদ্ধ খাবার: আয়রন রক্তের হিমোগ্লোবিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। হিমোগ্লোবিন রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন শরীরের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে। পিরিয়ডের সময় রক্তক্ষরণের কারণে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। তাই এই সময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, বাদাম, ডালি, কলিজা, কচুশাক, পালং শাক, লাল শাক ইত্যাদি।
  • প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার: প্রোটিন শরীরের ক্ষয়পূরণে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় শরীরে প্রোটিনের চাহিদা বেড়ে যায়। তাই এই সময় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, ডাল, বাদাম ইত্যাদি।
  • ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: ভিটামিন সি আয়রনের শোষণে সাহায্য করে। তাই পিরিয়ডের সময় ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে লেবু, আমড়া, পেয়ারা, জাম্বুরা, কমলা, আপেল, ব্রকলি, টমেটো ইত্যাদি।
  • ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার: ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতের গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও, ক্যালসিয়াম পেশির খিঁচুনি কমাতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় অনেকেরই পেশির খিঁচুনি হতে পারে। তাই এই সময় ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে রয়েছে দুধ, দই, পনির, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ সয়া মিল্ক, ব্রকলি, কচুশাক, পালং শাক ইত্যাদি।
  • পানি: পিরিয়ডের সময় শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। তাই এই সময় প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। পানি পান করলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে এবং পিরিয়ডের সমস্যা কমে।

পিরিয়ডের সময় যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত সেগুলো হল:

  • চর্বিযুক্ত খাবার: চর্বিযুক্ত খাবার হজম করতে কষ্ট হয়। তাই পিরিয়ডের সময় চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
  • মিষ্টি জাতীয় খাবার: মিষ্টি জাতীয় খাবার রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময় মিষ্টি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
  • লবণযুক্ত খাবার: লবণযুক্ত খাবার শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে। তাই পিরিয়ডের সময় লবণযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।

পিরিয়ডের সময় সঠিক খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া এবং মানসিক চাপ কমানোও জরুরি।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment