মৃগী রোগ কেন হয়?

মৃগী রোগের কারণ

মৃগী রোগ হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মৃগী রোগের সঠিক কারণ জানা যায় না। তবে, কিছু সম্ভাব্য কারণ হল:

মস্তিষ্কের আঘাত: 

  • জন্মের সময় মাথায় আঘাত
  • দুর্ঘটনা বা পতনের ফলে মাথায় আঘাত
  • স্ট্রোক
  • মস্তিষ্কে টিউমার

মস্তিষ্কের সংক্রমণ:

  • মেনিনজাইটিস
  • এনসেফালাইটিস

জন্মগত ত্রুটি:

  • মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক গঠন
  • জিনগত ত্রুটি

অন্যান্য কারণ:

  • রক্তে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা
  • শর্করার ঘাটতি
  • অ্যালকোহল বা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার

মৃগী রোগ যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে এটি শিশুদের এবং 60 বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

মৃগী রোগের লক্ষণ

  • খিঁচুনি
  • চেতনা হারানো
  • শরীরের অংশে অস্বাভাবিক কাঁপুনি
  • মুখ দিয়ে ফেনা বের হওয়া
  • শ্বাসকষ্ট
  • প্রস্রাব বা পায়খানা হয়ে যাওয়া

মৃগী রোগের চিকিৎসা

মৃগী রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ওষুধের মাধ্যমে মৃগী রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মৃগী রোগের চিকিৎসা করা হয়।

মৃগী রোগ সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা

  • মৃগী রোগ ছোঁয়াচে।
  • মৃগী রোগীরা বুদ্ধিমান হয় না।
  • মৃগী রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না।

এই ধারণাগুলো ভুল। মৃগী রোগ ছোঁয়াচে নয় এবং মৃগী রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

মৃগী রোগ সম্পর্কে আরও জানতে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

Frequently Asked Questions

১. মৃগী রোগ কী?

মৃগী রোগ একটি স্নায়বিক ব্যাধি যা মস্তিষ্কের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ কার্যকলাপের ফলে বারবার খিঁচুনি হতে পারে।

২. মৃগী রোগের কারণ কী?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, মৃগী রোগের সঠিক কারণ জানা যায় না। তবে, কিছু সম্ভাব্য কারণ হল মস্তিষ্কের আঘাত, সংক্রমণ, জন্মগত ত্রুটি, রক্তে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্যহীনতা, শর্করার ঘাটতি, এবং অ্যালকোহল বা মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার।

৩. মৃগী রোগের লক্ষণ কী?

মৃগী রোগের লক্ষণ হল খিঁচুনি, চেতনা হারানো, শরীরের অংশে অস্বাভাবিক কাঁপুনি, মুখ দিয়ে ফেনা বের হওয়া, শ্বাসকষ্ট, এবং প্রস্রাব বা পায়খানা হয়ে যাওয়া।

৪. মৃগী রোগের চিকিৎসা কী?

মৃগী রোগের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ওষুধের মাধ্যমে মৃগী রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে, অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে মৃগী রোগের চিকিৎসা করা হয়।

৫. মৃগী রোগ কি ছোঁয়াচে?

না, মৃগী রোগ ছোঁয়াচে নয়।

৬. মৃগী রোগীরা কি বুদ্ধিমান হয় না?

না, এই ধারণাটি ভুল। মৃগী রোগীরাও বুদ্ধিমান হতে পারে।

৭. মৃগী রোগীরা কি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে?

হ্যাঁ, বেশিরভাগ মৃগী রোগী ওষুধের মাধ্যমে তাদের রোগ নিয়ন্ত্রণ করে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

৮. মৃগী রোগীদের কোন বিষয়গুলো এড়িয়ে চলা উচিত?

মৃগী রোগীদের অ্যালকোহল, মাদকদ্রব্য, ঘুমের অভাব, এবং তীব্র আলো ও শব্দ এড়িয়ে চলা উচিত।

৯. মৃগী রোগ সম্পর্কে আরও জানতে কোথায় যোগাযোগ করবেন?

আপনার নিকটস্থ ডাক্তার বা নিউরোলজিস্টের সাথে পরামর্শ করুন।

১০. মৃগী রোগ সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা কী কী?

  • মৃগী রোগ ছোঁয়াচে।
  • মৃগী রোগীরা বুদ্ধিমান হয় না।
  • মৃগী রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে না।

এই ধারণাগুলো ভুল। মৃগী রোগ ছোঁয়াচে নয় এবং মৃগী রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment