মাসিক বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়গুলি হল:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন। অতিরিক্ত মাসিকের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে।
- পর্যাপ্ত তরল পান করুন। তরল পান করলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করুন।
- আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান। অতিরিক্ত মাসিকের ফলে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, বাদাম, ডাল, শাকসবজি ইত্যাদি খান।
- ভেষজ চা পান করুন। কিছু ভেষজ চা, যেমন রাস্পবেরি পাতার চা, জরায়ুর পেশীগুলিকে টোন করতে এবং অত্যধিক রক্তপাত কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত
অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ করার জন্য নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
- অতিরিক্ত চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- জটিল কোনও রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
যদি ঘরোয়া উপায়ে অতিরিক্ত মাসিক বন্ধ না হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘরোয়া উপায়ের বর্ণনা
কিছু নির্দিষ্ট ঘরোয়া উপায়ের বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া হল:
পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন
অতিরিক্ত মাসিকের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে 7-8 ঘন্টা ঘুমান।
পর্যাপ্ত তরল পান করুন
তরল পান করলে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, ফলের রস, ডাবের পানি ইত্যাদি পান করুন। প্রতিদিন কমপক্ষে 8-10 গ্লাস তরল পান করুন।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান
অতিরিক্ত মাসিকের ফলে রক্তস্বল্পতা হতে পারে। তাই আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন কলা, বাদাম, ডাল, শাকসবজি ইত্যাদি খান।
ভেষজ চা পান করুন
কিছু ভেষজ চা, যেমন রাস্পবেরি পাতার চা, জরায়ুর পেশীগুলিকে টোন করতে এবং অত্যধিক রক্তপাত কমাতে সাহায্য করতে পারে। রাস্পবেরি পাতার চা দিনে 2-3 বার পান করতে পারেন।
অতিরিক্ত চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন
চাপ বা দুশ্চিন্তা অতিরিক্ত মাসিকের কারণ হতে পারে। তাই অতিরিক্ত চাপ বা দুশ্চিন্তা থেকে দূরে থাকুন।
নিয়মিত ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয় এবং জরায়ুর পেশীগুলি শক্তিশালী হয়। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে 3-4 দিন 30 মিনিট ব্যায়াম করুন।
জটিল কোনও রোগ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন
কিছু জটিল রোগ, যেমন এন্ডোমেট্রিওসিস, জরায়ুর ক্যান্সার ইত্যাদির কারণেও অতিরিক্ত মাসিক হতে পারে। তাই যদি আপনার অতিরিক্ত মাসিকের সাথে অন্য কোনও উপসর্গ থাকে, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আরো পড়ুনঃ