পিরিয়ড না হলে করনীয়

পিরিয়ড না হলে প্রথমে বুঝতে হবে যে আপনার বয়স কত। যদি আপনি একজন কিশোরী হন এবং মাত্র মাসিক শুরু হয়েছে, তাহলে আপনার পিরিয়ডের চক্র এখনও নিয়মিত হতে পারে না। এক্ষেত্রে এক থেকে দুই মাস পিরিয়ড না হলেও চিন্তার কিছু নেই। তবে যদি আপনার বয়স ২৫ বছরের বেশি হয় এবং এক মাসের বেশি পিরিয়ড না হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

পিরিয়ড না হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • গর্ভধারণ: যদি আপনি গর্ভবতী হন, তাহলে আপনার পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যাবে।
  • স্তন্যদান: স্তন্যদানের সময়ও পিরিয়ড বন্ধ থাকতে পারে।
  • মেনোপজ: মেনোপজের সময় পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়।
  • হরমোনজনিত সমস্যা: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস), হাইপোথাইরয়েডিজম, হাইপারথাইরয়েডিজম ইত্যাদি হরমোনজনিত সমস্যার কারণেও পিরিয়ড না হতে পারে।
  • ওজনের পরিবর্তন: অতিরিক্ত ওজন বা কম ওজনের কারণেও পিরিয়ডের সমস্যা হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: মানসিক চাপের কারণেও পিরিয়ডের সমস্যা হতে পারে।

পিরিয়ড না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য ডাক্তার আপনাকে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে দিতে পারেন। এর মধ্যে রয়েছে:

  • রক্ত পরীক্ষা: রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে হরমোনের মাত্রা, থাইরয়েডের কার্যকারিতা, গর্ভধারণ ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়।
  • ইমেজিং পরীক্ষা: আল্ট্রাসনোগ্রাফি, সিটি স্ক্যান বা এমআরআই ইমেজিং পরীক্ষার মাধ্যমে ডিম্বাশয়, জরায়ু ইত্যাদির অবস্থা পরীক্ষা করা হয়।

ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে আপনার পিরিয়ড না হওয়ার কারণ নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা দেবেন।

এখানে কিছু সাধারণ পরামর্শ দেওয়া হল যা পিরিয়ড নিয়মিত করতে সাহায্য করতে পারে:

  • নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
  • পর্যাপ্ত ঘুমান।
  • মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।

আপনি যদি পিরিয়ড না হওয়ার কারণে কোনও শারীরিক বা মানসিক সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment