দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ

দুই মাস মাসিক না হওয়াকে অনিয়মিত মাসিক বলা হয়। সাধারণত ২৮ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে একজন নারীর মাসিক হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে দুই মাসের বেশি সময় ধরে মাসিক নাও হতে পারে।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • হরমোনের পরিবর্তন: মাসিক চক্র নিয়ন্ত্রণ করে হরমোন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দুই মাস মাসিক না হতে পারে। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ হতে পারে:
    • বয়ঃসন্ধি
    • ঋতু বন্ধ
    • ওজন হ্রাস বা বৃদ্ধি
    • অতিরিক্ত ব্যায়াম
    • নির্দিষ্ট ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
  • গর্ভধারণ: গর্ভাবস্থায়, মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, গর্ভাবস্থার প্রথম দিকে, সামান্য রক্তপাত হতে পারে। এটিকে ইমপ্লান্টেশন রক্তপাত বলা হয়।
  • গর্ভনিরোধক ওষুধ: গর্ভনিরোধক ওষুধ মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দুই মাস মাসিক না হতে পারে।
  • ওভারিয়ান সিস্ট: ওভারিতে সিস্ট হলে, এটি মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দুই মাস মাসিক না হতে পারে।
  • পিসিওএস: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) একটি হরমোনজনিত ব্যাধি যা মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দুই মাস মাসিক না হতে পারে।
  • অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও মাসিক চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে এবং দুই মাস মাসিক না হতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
    • থাইরয়েড সমস্যা
    • অ্যাড্রিনাল সমস্যা
    • ক্যান্সার

দুই মাস মাসিক না হওয়ার ক্ষেত্রে, কোনও কারণ নির্ণয় করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নির্ণয়ের জন্য, একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণের উপর। যদি কারণটি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা হয়, তাহলে হরমোন থেরাপি সাহায্য করতে পারে। যদি কারণটি গর্ভধারণ হয়, তাহলে গর্ভাবস্থার যত্ন নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যদি কারণটি গর্ভনিরোধক ওষুধ হয়, তাহলে অন্য ধরনের গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা যেতে পারে। যদি কারণটি ওভারিয়ান সিস্ট হয়, তাহলে সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে। যদি কারণটি পিসিওএস হয়, তাহলে ওষুধ বা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে উপসর্গগুলি নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। যদি কারণটি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হয়, তাহলে সেই সমস্যার চিকিৎসা করা গুরুত্বপূর্ণ।

দুই মাস মাসিক না হওয়ার ক্ষেত্রে, কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও সাহায্য করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:

  • পর্যাপ্ত ঘুম: পর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া: স্বাস্থ্যকর খাবার হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
  • স্ট্রেস কমানো: স্ট্রেস হরমোনের ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।

যদি আপনি দুই মাস মাসিক না হন, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার কারণ নির্ণয় করে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment