এক মাসে তিনবার মাসিক হওয়ার কারণ ও প্রতিকার

এক মাসে তিনবার মাসিক হওয়াকে অতিরিক্ত রজঃস্রাব বা পলিমেনোরি বলা হয়। এটি একটি অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা। সাধারণত, একজন নারীর মাসিক ২৮ দিন পর পর হয়। তবে, এক মাসে তিনবার মাসিক হওয়ার ফলে নারীর শরীরে রক্তশূন্যতা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথাব্যথা, এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

এক মাসে তিনবার মাসিক হওয়ার কারণ

এক মাসে তিনবার মাসিক হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন:

হরমোনজনিত সমস্যা: পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোম (PCOS), থাইরয়েডের সমস্যা, এবং অন্যান্য হরমোনজনিত সমস্যাগুলি অতিরিক্ত রজঃস্রাবের কারণ হতে পারে।

  • জরায়ুর সমস্যা: এন্ডোমেট্রোসিস, জরায়ুর পলিপ, এবং অন্যান্য জরায়ুর সমস্যাগুলি অতিরিক্ত রজঃস্রাবের কারণ হতে পারে।
  • জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি: জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, কপার-টি, এবং অন্যান্য জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলি অতিরিক্ত রজঃস্রাবের কারণ হতে পারে।
  • বুকের দুধ খাওয়ানো: বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় নারীদের মাসিক অনিয়মিত হতে পারে।
  • মানসিক চাপ: অতিরিক্ত মানসিক চাপও অতিরিক্ত রজঃস্রাবের কারণ হতে পারে।

এক মাসে তিনবার মাসিক হলে করণীয়

এক মাসে তিনবার মাসিক হলে নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি নেওয়া যেতে পারে:

  • স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পান করা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, এবং মানসিক চাপ কমানো।
  • ডাক্তারের সাথে পরামর্শ: যদি মাসিক নিয়মিত না হয়, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে দেখা করা উচিত। ডাক্তার মাসিকের কারণ নির্ণয় করে উপযুক্ত চিকিৎসা দেবেন।

এক মাসে তিনবার মাসিক হওয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর কারণের উপর। যদি কারণটি হরমোনজনিত হয়, তাহলে ডাক্তার হরমোন থেরাপির পরামর্শ দিতে পারেন। যদি কারণটি জরায়ুর সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তার সার্জারির পরামর্শ দিতে পারেন।

এক মাসে তিনবার মাসিক হওয়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করা এবং ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment