বুকের মাঝখানে ব্যথা কেন হয়?

বুকের মাঝখানে ব্যথা হয় কেন? হৃদরোগের কারণে, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ফুসফুসের সংক্রমণসহ রক্তনালীর সমস্যার কারণে হতে পারে। সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে আশা করি বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারবেন।

বুকের মাঝখানে ব্যথার অনেক কারণ হতে পারে। এর মধ্যে কিছু সাধারণ কারণ হল:

  • হৃদরোগের ব্যথা: হৃদরোগের ব্যথা হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে বাধার কারণে হয়। এই বাধা রক্ত প্রবাহকে হ্রাস করে, যা হার্টের পেশীতে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। হৃদরোগের ব্যথা সাধারণত বুকের মাঝখানে চাপ বা চাপের মতো অনুভূত হয়। এটি কাঁধ, ঘাড়, বা বাহুতে ছড়িয়ে যেতে পারে।
  • অ্যাসিড রিফ্লাক্স: অ্যাসিড রিফ্লাক্স হল যখন পাকস্থলীর অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ফিরে আসে। এটি বুকের মাঝখানে জ্বালা বা ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। অ্যাসিড রিফ্লাক্সের ব্যথা সাধারণত খাওয়ার পরে বা শুয়ে থাকার সময় হয়।
  • পেশী বা হাড়ের ব্যথা: বুকের মাঝখানে পেশী বা হাড়ের ব্যথাও হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত তীব্র বা তীব্র হয়। এটি হাঁটার বা কাশি দেওয়ার সময় আরও খারাপ হতে পারে।
  • ফুসফুসের সংক্রমণ: ফুসফুসের সংক্রমণ, যেমন নিউমোনিয়া, বুকের মাঝখানে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত তীব্র বা তীব্র হয়। এটি কাশি দেওয়ার সময় বা শ্বাস নেওয়ার সময় আরও খারাপ হতে পারে।
  • রক্তনালীর সমস্যা: বুকের মাঝখানে রক্তনালীর সমস্যার কারণেও ব্যথা হতে পারে। এই সমস্যাগুলির মধ্যে রয়েছে:
    • পেরিকার্ডাইটিস: এটি হৃৎপিণ্ডের চারপাশের ঝিল্লির প্রদাহ।
    • মায়োকার্ডাইটিস: এটি হৃৎপিণ্ডের পেশীর প্রদাহ।
    • এওর্টিক ডিসপ্লাসিয়া: এটি হৃৎপিণ্ডের প্রধান ধমনীর অস্বাভাবিক বিকাশ।

বুকের মাঝখানে ব্যথার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। ডাক্তার আপনার লক্ষণগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন এবং আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবেন। প্রয়োজনে, ডাক্তার আরও পরীক্ষার জন্য আপনাকে একজন বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাতে পারেন।

বুকের মাঝখানে ব্যথার জন্য কিছু ঘরোয়া প্রতিকারও রয়েছে। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • গরম সেঁক: বুকের মাঝখানে গরম সেঁক দিলে ব্যথা কমতে পারে।
  • ঠান্ডা সেঁক: বুকের মাঝখানে ঠান্ডা সেঁক দিলেও ব্যথা কমাতে পারে।
  • ব্যথানাশক ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ, যেমন আইবুপ্রোফেন বা অ্যাসপিরিন, ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে।

বুকের মাঝখানে ব্যথা যদি তীব্র বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment