মেয়েদের মাসিক হয় প্রজনন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে। মাসিক চক্রের সময়, ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় এবং জরায়ুতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হয়। যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়, তাহলে তা জরায়ুতে রোপন হয় এবং একটি ভ্রূণ গঠিত হয়। যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে জরায়ুতে তৈরি হওয়া পর্দা এবং রক্ত যোনিপথ দিয়ে নির্গত হয়। এই নির্গমনকেই মাসিক বলে।
মাসিক চক্রের প্রধান হরমোনগুলি হল ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন। ইস্ট্রোজেন ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু পরিপক্ক করতে সাহায্য করে এবং জরায়ুকে প্রস্তুত করে। প্রোজেস্টেরন জরায়ুকে নিষিক্ত ডিম্বাণু গ্রহণের জন্য প্রস্তুত করে।
মাসিক চক্রের সাধারণ দৈর্ঘ্য ২১ থেকে ৩৫ দিন। মাসিকের রক্তপাতের পরিমাণ সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি হয় এবং ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়।
মাসিক হল একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মাসিকের অনিয়মিততা দেখা দিতে পারে। মাসিকের অনিয়মিততার কারণগুলি হল:
- হরমোন ভারসাম্যের সমস্যা
- শারীরিক অসুস্থতা
- মানসিক চাপ
- ওজনের পরিবর্তন
- খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
মাসিকের অনিয়মিততা হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
মাসিক সম্পর্কে FAQ
১. মাসিক কী?
মাসিক হল প্রজননক্ষম মহিলাদের একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। মাসিক চক্রের সময়, ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম্বাণু পরিপক্ক হয় এবং জরায়ুতে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত হয়। যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়, তাহলে তা জরায়ুতে রোপন হয় এবং একটি ভ্রূণ গঠিত হয়। যদি ডিম্বাণু নিষিক্ত না হয়, তাহলে জরায়ুতে তৈরি হওয়া পর্দা এবং রক্ত যোনিপথ দিয়ে নির্গত হয়। এই নির্গমনকেই মাসিক বলে।
২. মাসিক চক্র কত দিন স্থায়ী হয়?
মাসিক চক্রের সাধারণ দৈর্ঘ্য ২১ থেকে ৩৫ দিন। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্য এর চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে।
৩. মাসিকের রক্তপাত কত দিন স্থায়ী হয়?
মাসিকের রক্তপাত সাধারণত ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মাসিকের রক্তপাত এর চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে।
৪. মাসিকের রক্তপাতের পরিমাণ কত?
মাসিকের রক্তপাতের পরিমাণ সাধারণত হালকা থেকে মাঝারি হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে মাসিকের রক্তপাতের পরিমাণ বেশি হতে পারে।
৫. মাসিকের সময় ব্যথা হয় কেন?
মাসিকের সময় ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথাকে মাসিকের ব্যথা বলা হয়। মাসিকের ব্যথার কারণগুলি হল:
- জরায়ুর সংকোচন
- জরায়ুর মধ্যে পর্দার খসে পড়া
- হরমোন ভারসাম্যের পরিবর্তন
৬. মাসিকের ব্যথা কীভাবে কমানো যায়?
মাসিকের ব্যথা কমাতে নিম্নলিখিত উপায়গুলি সাহায্য করতে পারে:
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
- গরুর দুধ বা আদা চা পান করা
- গরম সেঁক নেওয়া
- ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করা
৭. মাসিকের সময় কী কী করা উচিত?
মাসিকের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি খেয়াল রাখা উচিত:
- পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা
- স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
- নিয়মিত ব্যায়াম করা
- পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া
- মানসিক চাপ কমানো
৮. মাসিকের সময় কী কী করা উচিত নয়?
মাসিকের সময় নিম্নলিখিত বিষয়গুলি করা উচিত নয়:
- গরমে বেশি সময় থাকা
- ভারী কাজ করা
- অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করা
- ঝুঁকিপূর্ণ যৌন মিলন করা
৯. মাসিকের অনিয়মিততা কেন হয়?
মাসিকের অনিয়মিততার কারণগুলি হল:
- হরমোন ভারসাম্যের সমস্যা
- শারীরিক অসুস্থতা
- মানসিক চাপ
- ওজনের পরিবর্তন
- খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন
- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
১০. মাসিকের অনিয়মিততা হলে কী করণীয়?
মাসিকের অনিয়মিততা হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। ডাক্তার মাসিকের অনিয়মিততার কারণ নির্ণয় করে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে পারেন।
মাসিক হল একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। তবে, মাসিকের অনিয়মিততা হলে একজন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ