শিশুর নিউমোনিয়া রোগের কারণ, শিশুর নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ও প্রতিরোধের উপায়গুলো আলোচনা করা হয়েছে।
পাঁচ বছরের নিচে শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। নিউমোনিয়া শ্বাসযন্ত্রের এক ধরনের সংক্রমণজনিত রোগ।
সাধারণ সর্দিকাশিঃ নাক ও চোখ দিয়ে পানি ঝরে, কাশি ও জ্বর থাকতে পারে বা নাও থাকতে পারে।
নিউমোনিয়া
- শিশুর জ্বর থাকে। সর্দি-কাশির সাথে শিশু ঘনঘন বা দ্রুত শ্বাস নেয়।
- শিশু যদি শান্ত অবস্থায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বার শ্বাস নেয় তাহলে তাকে দ্রুত শ্বাস বলে। যেমন:
- বয়স: ০ – ২ মাস; দ্রুত শ্বাস বলা হবে যদি শিশু মিনিটে ৬০ বার বা তার বেশি শ্বাস নেয়।
- বয়স: ২ মাস থেকে ১২ মাস; দ্রুত শ্বাস বলা হবে যদি শিশু মিনিটে ৫০ বার বা তার বেশি শ্বাস নেয়।
- বয়স: ১২ মাস থেকে ৫ বছর; দ্রুত শ্বাস বলা হবে যদি শিশু মিনিটে ৪০ বার বা তার বেশি শ্বাস নেয়।
- এছাড়াও মারাত্মক নিউমোনিয়া হলে শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে সাথে বুকের খাঁচা ডেবে বা বসে যায়।
- শ্বাস প্রশ্বাসের সাথে শ্ শ্ আওয়াজ হয়।
- শিশু দুধ বা তরল খেতে পারেনা।
- যা খায় তাই বমি করে।
- ক্রমশ শিশু নিস্তেজ হয়ে যায়।
- দ্রুত চিকিৎসা না করালে শিশুর মৃত্যু হতে পারে।
নিউমোনিয়া আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিসমূহ
১) কম জন্ম ওজনের শিশু ও অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশু বিশেষত যে সকল শিশু জন্মের পর প্রথম ছয়মাস শুধু বুকের দুধ খায়নি।
২) রান্নার ধোঁয়া বা বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের ধূমপানের ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া।
৩) ঘনবসতিপূর্ণ, স্যাঁতস্যাতে বাড়িতে বসবাস।
৪) সময়মত টিকা না দেওয়া।
প্রতিরোধের উপায়
১) শিশুর যথাযথ পুষ্টি নিশ্চিতকরণ (জন্মের পর প্রথম ছয়মাস শুধু বুকের দুধ খাওয়ান এবং ছয় মাস বয়সের পর থেকে বুকের দুধের পাশাপাশি বাড়তি খাবার দিন)।
২) শিশুকে যথাসময়ে সবগুলো টিকা ও ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল প্রদান নিশ্চিত করুন।
৩) শিশুকে ধূলা-বালি, রান্নাঘরের ধোঁয়া ও ধূমপানের ধোঁয়া থেকে দূরে রাখুন।
৪) পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও বিশুদ্ধ বাতাস চলাচল করে এমন পরিবেশে শিশুকে রাখুন।
৫) দ্রুত রোগ চিহ্নিত করুন এবং শিশুকে নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান।
আরো পড়ুনঃ