ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগের প্রকারভেদ

বহু রকমের ডিমেনশিয়া রোগ আছে। অতি পরিচিত কিছু প্রকারের ডিমেনশিয়া বা স্মৃতিভ্রংশ রোগ নিয়ে নীচে আলোচনা করা হলো। ডিমেনশিয়ার প্রকারভেদে রোগের উপসর্গগুলোও ভিন্ন ভিন্ন হবে।

আলজাইমার্স ডিজিজঃ বেশিরভাগ ডিমেনশিয়া রোগীরই এই রোগটি হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার মাধ্যমেই সাধারণতঃ এ রোগের শুরু হয় এবং এরকম রোগীর সাথে কথা বলার মাধ্যমে প্রথমেই ধরা পড়বে যে তার স্মৃতিশক্তি আর আগের মত নেই।

ভাস্কুলার ডিমেনশিয়াঃ মস্তিষ্কে রক্ত সমস্যা থেকে এ রোগ হয় – যথেষ্ঠ রক্তের প্রবাহ না হওয়ার দরুণ মস্তিষ্কের কোষ মারা যেতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার পর এ রোগের ঝুঁকি থাকে আর এ রোগের প্রাথমিক অবস্থায় যে লক্ষণগুলি বেশি পরিলক্ষিত হয় তা হলো কোন বিষয়ে মনযোগ বা চিন্তাশক্তির ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া।

মিক্সড বা মিশ্র ডিমেনশিয়াঃ এটি হচ্ছে যার আলজাইমার ডিজিজ ও ভাস্কুলার ডিমেনশিয়া দু’টোই আছে। আর এক্ষেত্রে উপরোল্লিখিত উভয় প্রকার ডিমেনশিয়ার লক্ষণই পরিলক্ষিত হতে পারে রোগীর মাঝে।

ডিমেনশিয়া উইথ লিউই বডিজঃ এটা খুব একটা দেখা যায় না, এই ধরণের ডিমেনশিয়ার নামকরণ করা হয়েছে লিউই বডিজ নামক ছোট্ট অস্বাভাবিক কাঠামো থেকে, এটি মস্তিষ্কের কোষের ভেতর জন্মায়। এ রোগের প্রারম্ভিক লক্ষণগুলো হতে পারে নিজেকে সাবধানে রাখতে সমস্যা হওয়া, এক স্থান থেকে আরেক স্থানের দূরত্ব অনুধাবন বা বুঝতে না পারা, অলীকদর্শন বা আসলে নেই এমন কিছু দেখছেন বিশ্বাস করা এবং চলাফেরা বা নড়াচড়া করার ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া।

ফ্রন্টোটেম্পোরাল ডিমেনশিয়াঃ এই প্রকার ডিমেনশিয়াও খুব একটা বেশি নেই। এটা হয় মস্তিষ্কের সামনের এবং অথবা পার্শ্বের অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে। এর ফলে রোগীর আচার – আচরণ, ভাব বিনিময় এবং ভাষার ব্যবহারে পরিবর্তন আসে।

আরো পড়ুনঃ

Leave a Comment